‘অনাচারে উসকানি’র অভিযোগ: মিসরে বেলি ড্যান্সারের তিন বছরের কারাদণ্ড

‘অনাচার ও অনৈতিক আচরণে উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগে মিসরের জনপ্রিয় বেলি ড্যান্সার সামা এল মাসরিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সেদেশের আদালত। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে তিন লাখ মিসরীয় পাউন্ড জরিমানাও করা হয়েছে। শনিবার (২৭ জুন) কায়রোর মিসডিমিনারস ইকোনমিক কোর্ট এ রায় দেয়।

সামা এল মাসরি

২০১৮ সালে মিসরে বিতর্কিত সাইবার অপরাধ আইন পাস হয়। এ আইনের আওতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টের ওপর কড়া নজরদারির সুযোগ পায় দেশটির সরকার। এর অংশ হিসেবে এপ্রিলে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শেয়ার হওয়া ভিডিও ও ছবি নিয়ে তদন্ত চালানো হয়। ওই মাসেই গ্রেফতার হন এল মাসরি। সরকারি প্রসিকিউটরদের দাবি, প্রখ্যাত এ শিল্পীর পোস্ট করা ভিডিওতে যৌন আবেদন সৃষ্টিকারী উপাদান আছে।

৪২ বছর বয়সী এ নৃত্যশিল্পী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, কনটেন্টগুলো চুরি হয়েছে এবং সম্মতি না নিয়েই তার ফোন থেকে সেগুলো শেয়ার করা হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন মাসরি।

শনিবার আদালতের রায়ে বলা হয়, এল মাসরি মিসরের পারিবারিক নীতি ও মূল্যবোধ ক্ষুণ্ন করেছেন। অনৈতিক আচরণের উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি বিভিন্ন সাইট চালাতেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।

মাসরিসহ টিকটকে অংশগ্রহণকারী অন্য নারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন পার্লামেন্ট সদস্য জন তালাত। শনিবার রায় ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও অনাচারের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।’

গত কয়েক মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘অনাচার’ ও ‘যৌনাচার’ এর অভিযোগে বেশ কয়েকজন নারী টিক টককারী, ইন্সটগ্রাম তারকা ও ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ। মিসরের নারী অধিকারবিষয়ক আইনজীবী ও কায়রো সেন্টার ফর ডেভেলপমেনট এন্ড ল এর প্রধান ইন্তেসার আল সাঈদের অভিযোগ, সাইবার অপরাধবিষযক আইনটির আ্ওতায় কেবল নারীদেরই লক্ষ্যবস্তু করা হয়ে থাকে।