করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কবে আসবে; সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষ দূত ড. ডেভিড নাবারো বলছেন, প্রতিষেধকের জন্য অন্তত আড়াই বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, পরিপূর্ণভাবে করোনা থেকে বের হয়ে আসার কোনও উপায় আপাতত নাই।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী ১৪০টিরও বেশি টিকা নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে অন্তত ১৩টি ইতোমধ্যেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যেতে সমর্থ হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এ দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনা টিকা। তবে কোনও টিকারই চূড়ান্ত সাফল্য নন বিজ্ঞানীরা।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকা ভ্যাকসিনগুলোর সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডব্লিউএইচও’র বিশেষ দূত ড. ডেভিড নাবারো বলেন, ‘এমনকি যখন একটা ভ্যাকসিন আসবে, তারপরও আমাদের বেশকিছু সময় লাগবে গ্রহণকারীদের শরীরে এটি কাজ করছে কিনা তা জানতে। অনেকও অনেক তথ্যপ্রমাণ দরকার।’ ‘দ্বিতীয় প্রশ্নটি হবে প্রস্তাবিত এসব ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে প্রয়োগের জন্য নিরাপদ হবে কিনা, কোনও বিরুপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কিনা। ভ্যাকসিন ব্যবহারের সময় এসব বিরুপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে,’ বলেন তিনি।
কয়েকটি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা দেখা যাচ্ছে কিংবা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় পার করেছে বলে আগাম অনুমান নির্ভর পরিস্থিতির কথা বলা হচ্ছে সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ড. ডেভিড নাবারো বলেন, ২০২১ সালের শুরুতে যদি এগুলো ঘটেও থাকে তাহলেও তা খুব বেশি উপকারে আসবে না। ‘এর কারণ হলো দুনিয়ার সবার টিকা পেতে হলে আমাদের সত্যিকার অর্থে অনেক বেশি টিকার দরকার পড়বে। এটা করতে হলে যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে তাদেরকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। ধনী এবং গরিব সকল দেশের সকলের জন্যই এটা পাওয়ার নিশ্চয়তা তৈরি করতে হবে,’ বলেন তিনি।
দুনিয়ার সব মানুষের জন্য এক ডোজ টিকা নিশ্চিত করতে কত দিন সময় লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে ডব্লিউএইচও’র বিশেষ দূত ড. ডেভিড নাবারো বলেন, আমার মতে এজন্য আড়াই বছর সময় লাগবে। সেই কারণে আমি সবাইকে অন্তত আড়াই বছরের জন্য জীবনযাপনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে বলছি এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে বলছি। এর চেয়ে যদি আগে হয় তাহলে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা ব্যাক্তিটি হবো আমি।’