যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা নেই: উ. কোরিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার দরকার মনে করছে না উত্তর কোরিয়া। দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক বলেছেন, এই আলোচনা ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক হাতিয়ার ছাড়া অন্য কিছু হবে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন দূতের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে এমন মন্তব্য করেছেন উত্তর কোরিয়ার সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সোন হুই।উত্তর কোরিয়ার সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সোন হুই

উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার স্থগিত হয়ে আলোচনা শুরু করতে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেস বাইগুন। গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন বলেছেন, আগামী নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের আগে আবারও বৈঠকে বসতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এই বৈঠক স্থগিত হয়ে যাওয়া পারমাণবিক আলোচনা আবারও শুরু করতে সাহায্য করবে। তবে ওই আলোচনা নিয়ে এবার ভিন্ন অবস্থান জানালেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ এক কূটনীতিক।

উত্তর কোরিয়ার সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সোন হুই বলেন তার দেশের নীতি বদলাবে না আর ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যকার আলোচনায় কোনও কাজ হবে না। তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার দরকার মনে করছি না।

বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে ‘অক্টোবর সারপ্রাইজ’ হিসেবে কিমের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে বসতে পারেন ট্রাম্প।

২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও কিম জং উন। পরের বছর তারা ভিয়েতনামে বৈঠকে বসেন। ওই আলোচনা ভেঙে যায়। তখন ট্রাম্প বলেছিলেন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে যথেষ্ট পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র কিংবা ব্যালেস্টিক মিসাইল দেওয়ার প্রস্তাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন কিম। ২০১৯ সালের জুনে দুই কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণ এলাকায় তৃতীয়বারের মতো দেখা করেন ট্রাম্প ও কিম। ওই সময়ে তারা আলোচনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তবে অক্টোবরে এসে দুই পক্ষের ওয়ার্কিং লেভেলের বৈঠক ভেঙে যায়।