বাংলাদেশকে আবারও চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে তুরস্ক

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় দাতব্য সংস্থা তার্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি (টিআইকেএ)। সোমবার (৬ জুলাই) দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের হাতে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি। এর আগে জুন মাসে রাজধানী ঢাকায় ব্যবহারের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল তুর্কি সংস্থাটি।চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের হাতে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করে তুর্কি দাতব্য সংস্থা

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শহরটিতে এখন পর্যন্ত মোট ১০ হাজার ১৮০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের। সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, ‘আমরা শহরের মূল দুটি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের জন্য মোট এক হাজার এন৯৫ মাস্ক, এক হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই), দুটি ভেন্টিলেটর এবং পাঁচ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক গ্রহণ করেছি।’ এসব সামগ্রী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্যবহার করা হবে। তার্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সির (টিআইকেএ) সরবরাহ করা চিকিৎসা সামগ্রী করোনা মহামারি মোকাবিলায় অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।


টিআইকেএ’র কান্ট্রি সমন্বয়ক ইসমাইল গানদোগদু বাংলাদেশকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে টিআইকেএ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে আর আমরা তা অব্যাহত রাখবো।’ তিনি বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে টিআইকেএ বাংলাদেশি জনগণের জন্য অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে আর আশা করছি সম্প্রতি সরবরাহ করা এই চিকিৎসা সামগ্রী করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের অব্যাহত লড়াইয়ের সক্ষমতা বাড়াবে।’
এর আগে জুনের প্রথম সপ্তাহে তুরস্কের দাতব্য সংস্থাটি একই পরিমাণ চিকিৎসা সামগ্রী রাজধানী ঢাকার জন্য সরবরাহ করে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তখন এসব সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৬ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশে করোনা মহামারিতে বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জুনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯৬ জনে। সোমবার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে তিন হাজার ২০১ জন নতুন করে করোনা রোগী শনাক্তের মাধ্যমে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬১৮ জনে।