বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৪০ বছর ধরে বিরাজমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রশংসা করেন চ্যাং ওয়ানকুয়ান। এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে একমত হয়েছেন তারা। এ বৈঠকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) উপ-প্রধান ওয়াং জিয়ানপিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্রের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হচ্ছে চীন। গত পাঁচ বছরে চীন থেকে ১৬টি যুদ্ধ বিমান, দুইটি রণতরী, ৫টি সাগরে টহলযান ও মিসাইল ক্রয় করেছে বাংলাদেশ।২০১৩ সালে বাংলাদেশ ২০৩ মিলিয়ন ডলারে দুটি সাবমেরিন কিনতে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে।২০২০ সালে এ দুটি সাবমেরিন বাংলাদেশের নৌবহরে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ ও চীনের অংশগ্রহণ শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে রয়েছে।
এসময় সেনা প্রধান আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক জানান, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে চীনের পিপলস আর্মির সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি আগ্রহী ।এছাড়াও চীনের কাছে প্রশিক্ষণ নিতেও আগ্রহী বাংলাদেশ।
অন্যদিকে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ ও রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী চীনের পিপলস আর্মি।
চীনের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার করিডোর নির্মাণের প্রস্তাব করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
/এএ/টিএন/