কাতারবিরোধী অবরোধ; সৌদি জোটের আপিল প্রত্যাখ্যান আন্তর্জাতিক আদালতের

সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের ঘটনায় এক মামলায় কাতারের প্রতি সমর্থন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)। মঙ্গলবার অবরোধকারী দেশগুলোর আপিল প্রত্যাখ্যান করেছেন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক জাতিসংঘের এই শীর্ষ আদালত। আইসিজে প্রেসিডেন্ট আবদুলওয়াকি আহমেদ ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থার এক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওই আপিল করেছিল অবরোধকারী চার দেশ। দেশগুলো হচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন।

সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের পর ২০১৮ সালে অবরোধকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আইসিএও। তবে অবরোধকারী দেশগুলোর দাবি, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আইসিএও যথাযথ কর্তৃপক্ষ নয়। বিষয়টি নিয়ে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হয় সৌদি জোট।

মঙ্গলবারের রায়ে আদালত বলেছেন, এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থা (আইসিএও)-এর এখতিয়ার রয়েছে।

সৌদি জোটের দাবি ছিল, আদালত যেন আইসিএও-এর এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের আপিলটিই প্রত্যাখ্যান করেন আদালত। আদালতের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কাতার।

দোহা বলছে, আদালতের এ রায় আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য অবরোধ আরোপকারী দেশগুলোকে বিচারের মুখোমুখি করবে।

২০১৭ সালের ৫ জুন কথিত সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। তবে সৌদি জোটের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার। বরং এ অবরোধকে রক্তপাতহীন যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুররহমান আলে সানি। তার ভাষায়, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কয়েকটি আরব দেশ দোহার বিরুদ্ধে প্রকারান্তরে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

সৌদি জোটের অবরোধের মুখে তুরস্কের দিকে আরও ঝুঁকে পড়ে কাতার। ২০১৭ সালের আগস্টে তুর্কি অর্থমন্ত্রী নিহাদ জিবেকজি মন্তব্য করেন কাতারের চাহিদা পূরণে তুরস্কই যথেষ্ট।