প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ‘কার্যকরী’ মডার্নার টিকা: মার্কিন গবেষকদের দাবি

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মার্কিন কোম্পানি মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিনটির প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সফল হওয়ার দাবি করেছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এ ওষুধ প্রয়োগের পর দেখা গেছে এটি নিরাপদ এবং তা করোনার বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতীকী ছবি

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কোনও অনুমোদিত টিকা আবিষ্কার হয়নি। বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকা ও ওষুধ আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলছে। মাত্র কয়েকটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি মডার্না।

গত ১৬ মার্চ মডার্নার তৈরি টিকাটির মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মডার্নার গবেষকরা দাবি করেছেন, প্রথম ধাপের পরীক্ষায় এটি কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। যেসব স্বেচ্ছাসেবীকে টিকাটির দুইটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল, তাদের শরীরে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে উচ্চ মাত্রার এন্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে। কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া মানুষের শরীরে তৈরি হওয়া এন্টিবডির চেয়েও এর মাত্রা বেশি।

মডার্নার তৈরি টিকাটির প্রথম ধাপের পরীক্ষায় গুরুতর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, অর্ধেকের বেশি স্বেচ্ছাসেবী অল্প মাত্রার মাথা ব্যথা, ঠাণ্ডাজনিত কাঁপুনি, পেশীর ব্যথা এবং ইনজেকশন দেওয়ার জায়গায় ব্যথা অনুভব করেছেন। যেসব মানুষ সর্বোচ্চ মাত্রার ডোজ নেনে তাদের ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে।

মডার্নার জন্য ভ্যাকসিনটি তৈরির কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-এর গবেষকরা। ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপের পরীক্ষার সাফল্যকে ‘ভালো খবর’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউচি।

ভ্যাকসিনটি তৈরির জন্য মডার্নাকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ কোটি ডলার অনুদান দেবে তারা।