ইরানি বিমান থেকে নিরাপদ দূরত্বে ছিল মার্কিন যুদ্ধবিমান: যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ার আকাশসীমায় ইরানি যাত্রীবাহী বিমানের খুব কাছ দিয়ে বিপজ্জনকভাবে যুদ্ধবিমানের মহড়া চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের এফ-১৫ বিমান ইরানি বিমানের খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়নি। এটি নিরাপদ দূরত্বে ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  

প্রতীকী ছবি

ইরানের বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ‘মাহান এয়ার’-এর একটি যাত্রীবাহী বিমান বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরের পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উদ্দেশে তেহরান ত্যাগ করে। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইবি-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সন্ধ্যার দিকে বিমানটি সিরিয়ার তাল আন্‌ফ অঞ্চলের আকাশে পৌঁছালে এর চারপাশে বিপজ্জনক মহড়া চালায় দু’টি যুদ্ধবিমান। এ অবস্থায় জঙ্গিবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে ইরানি পাইলট হঠাৎ করে যাত্রীবাহী বিমানের উচ্চতা পরিবর্তন করেন। আর সে সময় বিমানের ঝাঁকিতে আহত হন কয়েকজন যাত্রী। প্রথমে দুইটি যুদ্ধবিমান ইসরায়েলের বলে উল্লেখ করা হলেও পরে আইআরআইবি দাবি করে, অন্তত একটি বিমান যুক্তরাষ্ট্রের।

সিরিয়ার আকাশে মার্কিন বিমান মহড়া দিচ্ছিলো বলে স্বীকার করলেও তা ইরানি বিমানের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।  

বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল উরবান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সিরিয়ার আল তানাফে রুটিন মহড়া চালাচ্ছিলো একটি মার্কিন এফ-১৫ যুদ্ধবিমান। বিকালে আকাশসীমায় মাহান এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমানের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে মার্কিন বিমানটি নিরাপদ দূরত্বে চলে গিয়েছিল। মাহান এওয়ারের বিমানটি থেকে প্রায় ১ হাজার মিটার দূরত্বে অবস্থান করছিলো এটি।’

বিল উরবানের দাবি, ইরাক ও জর্ডান সীমান্তের কাছে আল তানাফে মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থানরতদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওই নজরদারি মহড়া চালায় এফ-১৫ বিমান। ‘                                         

আইআরআইবি-এর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানের জানালা থেকে যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যাচ্ছে। ওই ভিডিওতে এক যাত্রীর মুখে রক্তও দেখা গেছে।

এরইমধ্যে বৈরুত বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে মাহান এয়ারের বিমানটি। তবে এটিতে কতজন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন তা জানা যায়নি। নতুন করে জ্বালানি নেওয়ার পর বিমানটি শুক্রবার তেহরানের উদেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

মাহান এয়ার ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিমান সংস্থাটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৯ সালে বেশে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশও তাদের আকাশসীমায় কোম্পানির বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।