চীন-ভারত সীমান্তের বেশিরভাগ এলাকা থেকেই সেনা সরে গেছে: বেইজিং

বেইজিং জানিয়েছে, চীন ও ভারতের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ সীমান্তের বেশিরভাগ এলাকা থেকে নিজেদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া সম্পন্ন করেছে দুই দেশ। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন দাবি করেন, মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি শীতল হওয়া অব্যাহত রয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

গত ১৫ জুন হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল লাদাখের দুর্গম সীমান্তে সংঘাতে জড়ায় চীন ও ভারতের সেনাবাহিনী। এতে অন্তত ২০ সেনা নিহতের কথা স্বীকার করে ভারত। তবে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ থেকে বিরত থাকে বেইজিং। ওই ঘটনার পর থেকেই বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সেনা সমাবেশ ঘটায় উভয় দেশ। পার্বত্য অঞ্চলটির ওপর দিয়ে ঘন ঘন টহল দিতে শুরু করে যুদ্ধবিমান।

উত্তেজনা বাড়তে থাকায় তা নিরসনে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনাও শুরু করে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটি। ইতোমধ্যে সামরিক কমান্ডার পর্যায়ে চার দফায় দুই দেশের আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার বেইজিংয়ে চীনা মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানান, পঞ্চম দফায় আলোচনায় বসতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন চীন ও ভারতীয় সেনা কমান্ডাররা। তবে কবে নাগাদ এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তারিখ জানাতে পারেননি তিনি। সীমান্তের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে আসছে জানিয়ে চীনা মুখপাত্র বলেন, ‘ইতোমধ্যে বেশিরভাগ এলাকা থেকে দুই দেশের সম্মুখ সারির সেনারা সরে যাওয়া সম্পন্ন করেছে।’

এদিকে সীমান্তে সংঘাতের পর থেকেই ভারতে বাড়ছে চীনবিরোধী মনোভাব। রাজপথে চীনবিরোধী বিক্ষোভের পাশাপাশি ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে দেওয়া হয়েছে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক। প্রথম দফায় ভারত সরকার চীনের তৈরি জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকসহ ৬৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পরও দ্বিতীয় দফায় আরও ৪৭টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। ভারতের দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই এসব অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।