স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশে দেশে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুক্রবার (৩১ জুলাই) উদযাপিত হচ্ছে ঈদ-উল-আজহা। তবে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি চলমান থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদায় করা হয়েছে ঈদের জামাত। মুখে মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদ ও রাস্তায় নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লীদের। এছাড়া পশু কোরবানির ক্ষেত্রেও মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণ হারিয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশগুলো। এমন অবস্থায় মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আজহা উদযাপিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সীমিত পরিসরে।

এশিয়ার বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়াতে নামাজ আদায়ের সময় মুসল্লীদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। অনেক মসজিদের পশু কোরবানি ও তা বিতরণের রীতি বাতিল করা হয়েছে। এর বদলে পশু কোরবানি করা হয়েছে কসাইখানাগুলোতে।

জাকার্তার সুন্দা কেলাপা মসজিদে সামাজ আদায় করতে এসেছিলেন ৩০ বছর বয়সী দেভিতা ইলহামি। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আগের বছরগুলোর চেয়ে এ বছরের ঈদ উল আজহা ব্যতিক্রম, কারণ এ বছর নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে।’

ইলহামি আরও জানান, তাদের নিজেদের জায়নামাজ নিয়ে আসতে হয়েছে। কোথায় কোথায় তারা বসবেন তা চিহ্ন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজে অংশ নিলেও করোনা মহামারির কারণে এবার হজে অংশ নিতে পেরেছেন প্রায় এক হাজার মুসল্লি। শুক্রবার মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে জামারাতে পাথর নিক্ষেপের পর মিনার উদ্দেশে রওনা হন হাজিরা। পরে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দেওয়া হয় পশু কোরবানি।

থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় মসজিদের ভেতরে ও বাইরে মাস্ক পরে মুসল্লিদেরকে নামাজ আদায় করতে হয়েছে। মালয়েশিয়ার কিছু কিছু মসজিদে কোরবানির রীতি বাতিল করা হলেও কুয়ালালামপুরে কেংকু আব্দুল্ আজিজ শা্হ জামে মসজিদে ১৩টি গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছে।