আফগান কারাগারে সংঘর্ষ অব্যাহত, আইএস-এর দায় স্বীকার

আফগানিস্তানের জালালাবাদের কারাগারে বন্দুকধারীদের হামলার বেশ কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতি এখনও নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। রবিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে চলমান এ সংঘর্ষে এরইমধ্যে ২১ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কারাবন্দি ছাড়াও রয়েছে বেসামরিক নাগরিক, কারারক্ষী ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। সোমবার (৩ আগস্ট) নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিন বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে। সব মিলে এ ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪। নানগারহার প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে। এরইমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর আফগানিস্তান শাখা।

আফগান কারাগাররবিবার (২ আগস্ট) রাতে নানগারগার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের কারা প্রাঙ্গণে গাড়িবোমা হামলা চালায় এক আত্মঘাতী। এরপরই নিরাপত্তা প্রহরীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী। পরে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বেশ কয়েকজন বন্দি এরইমধ্যে কারাগার থেকে পালিয়েছে। নানগারহার পুলিশের মুখপাত্র তারেক আজিজ ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, প্রায় ১০০ কারাবন্দি পালাতে চেয়েছিল। তাদের বেশিরভাগকেই আটকাতে পেরেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে নানগারহার প্রাদেশিক কাউন্সিলের প্রধান আহমদ আলি হাজারাত দাবি করেছেন, যেসব বন্দি পালাতে চেয়েছিল, তাদের একটা বড় অংশই পালাতে সক্ষম হয়েছে।

কারাগারটিতে প্রায় দেড় হাজার বন্দি রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকশ’ বন্দিকে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর আফগান শাখার সদস্য বলে মনে করা হয়ে থাকে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারটিতে হামলার ঘটনায় আইএস-এর আফগান শাখা দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি সেখানে আইএস ইন খোরাসান প্রভিন্স নামে পরিচিত। নানগারহার প্রদেশে সংগঠনটির সদর দফতর ছিল।

নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের কাছে বিশেষ বাহিনীর অভিযানে এক জ্যেষ্ঠ আইএস কমান্ডার নিহত হওয়ার একদিনের মাথায় এ হামলা হলো।

এর আগে তালেবানের পক্ষ থেকে করা এক টুইটার পোস্টে হামলার দায় অস্বীকার করা হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংগঠনটির সঙ্গে আফগান সরকারের অস্ত্রবিরতি চলছে।

নানগারহারে প্রায় নিয়মিতই বন্দুকধারীর হামলা হয়ে থাকে। এর অনেকগুলোরই দায় স্বীকার করে আইএস।