আফগানিস্তানের কারাগারে সংঘর্ষের অবসান, নিহত ৩৭

২০ ঘণ্টা পর বন্দুকধারীদের কবল থেকে জালালাবাদের কারাগারটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষের অবসান হয়। এ ঘটনায় অন্তত ২৯ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কারাবন্দি ছাড়াও রয়েছে বেসামরিক নাগরিক, কারারক্ষী ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আট হামলাকারীও নিহত হয়েছে। সব মিলে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭-এ। তবে জালালাবাদের কারাগারটির নিয়ন্ত্রণ নিলেও পার্শ্ববর্তী একটি এলাকা থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে কিছুক্ষণ পর পর গুলি ছুড়ছে আইএস জঙ্গিরা। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ আমানকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এসব তথ্য জানিয়েছে।

রবিবার (২ আগস্ট) রাতে নানগারগার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের কারা প্রাঙ্গণে গাড়িবোমা হামলা চালায় এক আত্মঘাতী। এরপরই নিরাপত্তা প্রহরীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী। পরে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

কারাগারটিতে প্রায় দেড় হাজার বন্দি রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকশ’ বন্দিকে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর আফগান শাখার সদস্য বলে মনে করা হয়ে থাকে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারটিতে হামলার ঘটনায় আইএস-এর আফগান শাখা দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি সেখানে আইএস ইন খোরাসান প্রভিন্স নামে পরিচিত। নানগারগার প্রদেশে সংগঠনটির সদর দফতর অবস্থিত।

হামলার উদ্দেশ্য কী তা এখনও জানা যায়নি। হামলার সময় বেশ কিছু বন্দি পালিয়ে গিয়েছিল। নানগারগার প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পালিয়ে যাওয়া ১ হাজার বন্দিকে খুঁজে বের করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এখনও কোনও বন্দি পলাতক আছে কিনা তা জানা যায়নি।

নানগারগার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের কাছে বিশেষ বাহিনীর অভিযানে এক জ্যেষ্ঠ আইএস কমান্ডার নিহত হওয়ার একদিনের মাথায় এ হামলা হলো।

এর আগে তালেবানের পক্ষ থেকে করা এক টুইটার পোস্টে হামলার দায় অস্বীকার করা হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংগঠনটির সঙ্গে আফগান সরকারের অস্ত্রবিরতি চলছে।

নানগারগারে প্রায় নিয়মিতই বন্দুকধারীর হামলা হয়ে থাকে। এর অনেকগুলোরই দায় স্বীকার করে আইএস।