আত্মহত্যা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহারের অনুমোদন

যুক্তরাষ্ট্রে বিষণ্ন ও আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের চিকিৎসায় স্প্র্যাভাটো ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। করোনা মহামারিতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়া মানুষদের আত্মহত্যার ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকরা যখন উদ্বিগ্ন, তখনই এ স্প্রে আশার আলো দেখালো। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জনসন এন্ড জনসনের দাবি, অন্য ওষুধের তুলনায় এ স্প্রে মানুষের বিষণ্নতার মাত্রা খুব দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতীকী ছবিকরোনা মহামারির আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বহুসংখ্যক আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষ ছিলেন। ১৯৯৯ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষের সংখ্যা বেড়েছিল ৩০ শতাংশ। কয়েক মাস ধরে করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের মাঝে বেড়েছে বিষণ্নতার মাত্রা। আর তাদের এ বিষণ্নতা কমাতে স্প্যাভাটো ন্যাজাল স্প্রে কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে দাবি করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। কোম্পানিটি জানিয়েছে, স্প্র্যাভাটো ন্যাজাল স্প্রে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার মানুষ ব্যবহার করেছেন। তারা প্রত্যেকেই গভীর হতাশায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, তাদের বিষণ্ণতা সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়।

কোম্পানির নিউরোসায়েন্সেস মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল ক্র্যামার বলেন, ‘এফডিএ আমাদের কোম্পানির ন্যাজাল স্প্রে অনুমোদন করেছে। এটা দ্রুত আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তির ওপরে কাজ করে। আমেরিকার লোকসংখ্যার ১১ থেকে ১২ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ এখন ডিপ্রেশনে ভুগছেন।’ ক্র্যামার দাবি করেছেন, যারা তাদের কোম্পানির ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহার করেন, তাদের বিষণ্ণতা কমে খুব দ্রুত। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ্রেশন রিসার্চ প্রোগ্রামের ডিরেক্টর জেরার্ড সানাকোরা বলেন, ‘রোগীরা যখন গুরুতর ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হবেন, তাদের সাহায্য করবে নতুন ন্যাজাল স্প্রে।’

অন্যান্য বিষণ্নতাবিরোধী ওষুধ মস্তিষ্কের সেরোটিনিন বা নোরিপাইনফেরিনের ওপরে কাজ করে। কিন্তু স্প্র্যাভাটো কাজ করে ব্রেনের গ্লুটামেট সিস্টেমের ওপরে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৯৮৭ সালের পরে এই প্রথমবার ডিপ্রেশন প্রতিরোধে এত বড় সাফল্য পাওয়া গেলো।