ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না: ফাউচি

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এ বছরের নভেম্বরে। নির্বাচনের স্বার্থেই এর আগেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ভ্যাকসিন উন্মুক্ত করার আশায় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভ্যাকসিন দ্রুত সামনে আনতে গবেষকদের ওপর কোনও ধরনের রাজনৈতিক চাপ নেই বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি। ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

noname

করোনার থাবায় বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এই মারণভাইরাসে। এখনও কার্যকর কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করা যায়নি। বিশ্বে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে আছে ১৭৩টি উদ্যোগ। এর মধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছাতে পেরেছে তিনটি, তবে কোনও ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাশিয়া তাদের একটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত সাফল্য দাবি করলেও তা নিয়ে সংশয় রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। 

রয়টার্সকে দেওয়া বুধবারের সাক্ষাৎকারে ফাউচি আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভ্যাকসিন ‘নিরাপদ ও কার্যকর’ হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ‘আমি এটা বিশ্বাস করি না যে ভ্যাকসিন তৈরির দিক থেকে কোনও দেশ আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। কিংবা এই ভ্যাকসিনের জন্য অন্য কোনও দেশের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হবে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে ভ্যাকসিন দ্রুত আনার তোড়জোড় চলছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ফাউচি বলেন, ‘আমি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এ সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক বিষয়াদিকে হস্তক্ষেপ করতে দেবেন না।’করোনা ভ্যাকসিন উন্মুক্তকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নিশ্চয়তা দিয়েছেন, এক্ষেত্রে সুরক্ষা ও কার্যকারিতাই প্রধান বিবেচ্য বিষয় হবে।’ 

করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সব জরিপেই তার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন। এ কারণে নির্বাচনের আগেই করোনা ভ্যাকসিন বাজারে এনে জনগণের মন জিততে চান ট্রাম্প। ড. ফাউচি বলেন, ‘আমি জানি হোয়াইট হাউস কী দেখতে চায়। তবে এই মুহূর্তে আমরা যা করছি তা থেকে ভিন্ন কিছু করতে চাপপ্রয়োগের কোনও লক্ষণ দেখছি না।’