মালয়েশিয়ায় নতুন করে ১৩ দিনের রিমান্ডে রায়হান

করোনা লকডাউনের মধ্যে অভিবাসীদের দুর্দশা নিয়ে আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি অভিবাসী রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দেশটির পুলিশের তদন্তকারী বিভাগ সিআইডি’র পরিচালক হুজির মোহাম্মদ জানিয়েছেন, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষের প্রধান জানিয়েছেন, রায়হানকে নতুন করে ১৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে একটি বিশেষ আদালত। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।আল জাজিরায় সাক্ষাৎকার মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার হয়েছেন রায়হান কবির

গত ৩ জুলাই আল জাজিরায় প্রচারিত ‘১০১ ইস্ট’ অনুষ্ঠানে ‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়া’র লকডাউন’ শীর্ষক ২৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ওই প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এতে করোনাভাইরাস মহামারিতে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে সরকারের আচরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন রায়হান কবির। সংবাদমাধ্যমটির ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকে সমালোচনা শুরু হয়। দেশটির সরকার এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে। ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৫ জুলাই তাকে নেওয়া হয় ১৪ দিনের রিমান্ডে।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষের মহা-পরিচালক খাইরুল জাইমি দাউদ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, রায়হানকে নতুন করে ১৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে একটি বিশেষ আদালত। আগামী ৭ আগস্ট (শুক্রবার) থেকে নতুন রিমান্ড শুরু হবে। তিনি জানান, তদন্ত শেষ হলে রায়হানকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়া তাকে আর কখনোই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

আল জাজিরার প্রতিবেদন সংক্রান্ত তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার সিআইডি’র পরিচালক হুজির মোহাম্মদ বলেন, ‘আজ বিকেলে তদন্তের কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য আমরা অপেক্ষা করবো।’ তদন্তের অংশ হিসেবে আল জাজিরার ছয় কর্মী এবং রায়হানের বক্তব্য নথিভুক্ত করেছে দেশটির পুলিশ।

উল্লেখ্য, রায়হান কবিরের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বন্দরে। ২০১৪ সালে তোলারাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে মালয়েশিয়া চলে যান তিনি। তার বাবা শাহ আলম একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।