ভ্যাকসিন তৈরিতে গেটস ফাউন্ডেশনের তহবিল পাচ্ছে সিরাম ইন্সটিটিউট

করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করে তা বাজারজাত করতে দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ও আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোট গ্যাভির সঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এর চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্সের করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পর তার ১০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করে বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করবে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এর জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতীকী ছবি

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আবিষ্কৃত সম্ভাব্য টিকার উৎপাদন ও পরীক্ষার কাজ চালাচ্ছে সিরাম ইন্সটিটিউট। গত ৩০ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করেছে মার্কিন সংস্থা ‘নোভাভ্যাক্স’। ‘এনভিএক্স-কোভ-২৩৭৩’ নামে নিজস্ব সম্ভাব্য প্রতিষেধক এনেছে এই সংস্থাটি। সেই প্রতিষেধকের উৎপাদন ও সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছে সিরাম। এবার এ দুই প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পর তার ডোজ তৈরি করে বিতরণের জন্য বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্যাভির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ১০০ মিলিয়ন ডোজের ভ্যাকসিন তৈরি করে বাজারজাত করার দায়িত্ব বর্তেছে সিরামের উপর। প্রতি ডোজ পিছু যার দাম হবে ৩ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম পড়বে প্রায় ২২৫ রুপি।  ভারত ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের যেসব দেশ রয়েছে, সেখানে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবে তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন মিললেই ২০২১ সালের প্রথম ধাপেই ভ্যাকসিন বাজারজাত করা হবে। জানা গেছে, ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে কোভ্যাক্স পদ্ধতিতে। উল্লেখ্য, প্রতিটি দেশের কাছে যেন যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতেই কোভ্যাক্স তৈরি করা হয়েছে। গ্যাভি, কোয়ালিশন অব এপিডেমিক প্রিপিয়ার্ডনেস ইনোভেশনস(সিইপিআই) ও হু’র নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে কোভ্যাক্স।