বিস্ফোরণের প্রতিবাদে বৈরুতে ব্যাপক বিক্ষোভ, আক্রান্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

গত ৪ আগস্টের ভয়াবহ বিস্ফোরণের প্রতিবাদে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার বৈরুতের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। প্রাথমিকভাবে এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে সহিংস হয়ে ওঠে। পরে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী ঢুকে পড়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এছাড়া শহরের মধ্যস্থল থেকেও গুলির শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দর এলাকায় জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, বিস্ফোরণে পুরো বৈরুত শহর ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠেছিল। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, বৈরুতের বন্দর এলাকা থেকে বড় গম্বুজ আকারে ধোঁয়া উড়ছে, এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট বিস্ফোরণে গাড়ি ও স্থাপনা উড়ে যেতে দেখা যায়। লেবাননের সরকারি হিসাবে, বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৫৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ হাজার মানুষ। নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মজুদ সুরক্ষিত রাখতে না পারার ব্যর্থতার জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ হাজার হাজার লেবানিজ। সম্প্রতি আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাধারণ মানুষের ধাওয়ার শিকার হয়েছেন দেশটির অন্তত দুই মন্ত্রী। ২৮ বছর বয়সী অ্যাকটিভিস্ট ফারেস হালাবি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তিন দিন ধরে ধ্বংসযজ্ঞ সরানো, পরিষ্কারের কাজ করা আর আহত স্থানের যত্ন নেওয়ার পর এখন ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটানোর আর শাস্তি দেবার পালা।’

সরকারের অদক্ষতা, দুর্নীতির প্রতিবাদে গত বছর লেবাননে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ জোরালো হয়। মুদ্রার মান পড়ে যাওয়া আর ও অর্থনৈতিক সংকটের জেরে ওই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিস্ফোরণের পর সেই বিক্ষোভও গতি পেয়েছে। অক্টোবরের বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হওয়া বৈরুতের শহিদ চত্বরেও শনিবার সমবেত হয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।

শনিবার পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ বন্ধ করতে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা চালায় বিক্ষোভকারীরা। পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলে ছোঁড়া হয় টিয়ার গ্যাস।