আংশিক সচল হলো বৈরুত বন্দর

বিস্ফোরণের এক সপ্তাহ পর বৈরুত বন্দরে আংশিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের উদ্যোগ। লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় লেবাননের বৈরুত বন্দরে তুমুল বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পুরো এলাকা। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫ হাজার। বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের এলাকার ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্দরে কয়েক বছর ধরে মজুত থাকা ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটে আগুন ধরে যাওয়াকে বিস্ফোরণের কারণ বলে দাবি করে সরকার। ঘটনার পর বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের কার্যক্রম। এরইমধ্যে জিনগণের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছে লেবানন সরকার। এমন অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

লেবানন মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য আমদানির ওপর অত্যধিক নির্ভরশীল। দেশটির অর্থনীতিকে সচল রাখার কয়েকটি কেন্দ্রের মধ্যে একটি ছিল পোর্ট অব বৈরুত। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও পণ্য খালাস অব্যাহত রেখেছিল বন্দরটি। তবে বিস্ফোরণের পর বন্দরটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে বন্দর।

লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থমন্ত্রী রাউল নেহমে এক টুইটার পোস্টে জানান, বৈরুত বন্দরে থাকা ১৬টি ক্রেনের মধ্যে ১২টি দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

রাউল লিখেছেন, ‘লেবাননের মিলগুলোতে ৩২ হাজার টন ময়দা মজুত আছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে সেখানে আরও ১১ হাজার টন ময়দার চালান পৌঁছানোর কথা।’ তিনি জানিয়েছেন, এতে যে পরিমাণ ময়দা মজুত হবে তা দিয়ে সামনের চার মাস কাটিয়ে দেওয়া যাবে।