ব্রাজিলে উৎপাদিত হবে রাশিয়ার ভ্যাকসিন

করোনাভাইরাসের রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি'র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং তা তৈরি করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এক ব্রাজিলীয় রাজ্য। কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে। দক্ষিণাঞ্চলীয় পারানা রাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছেন, ব্রাজিলে ভ্যাকসিনটি তৈরি শুরু হওয়ার আগে এটিকে সেখানকার নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন কিংবা ব্যাপক মানুষের ওপর পরীক্ষা করাতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ব্রাজিলে এটির উৎপাদন শুরু হবে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

করোনাভাইরাসের নিরাপদ ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে গত ১১ আগস্ট বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে ‘স্পুটনিক ভি’ অনুমোদনের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। তবে রাশিয়ার ঘোষণার পরই ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। তবে ব্রাজিলের রাজ্য সরকার পরিচালিত পারানা টেকনোলোজি ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিনটি তৈরি করতে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তহবিলের (আরডিআইএফ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

পারানা টেকনোলোজি ইনস্টিটিউট এর প্রধান জর্জ কালাডো বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রাযুক্তিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক একটি সমঝোতা স্বারক। এতে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি, খুব সাধারণভাবে আমাদের যৌথভাবে কাজের সুযোগ করে দিয়েছে।’ তিনি জানান সমঝোতা অনুযায়ী রাশিয়া ভ্যাকসিনটির প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলাফল রাজ্যটিকে সরবরাহ করবে।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা পরীক্ষার জনপ্রিয় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। দেশটিতে এই ভাইরাসের বিস্তার এখনও অব্যাহত রয়েছে। করোনা মহামারিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃতের দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে ৩১ লাখের বেশি আক্রান্ত ও এক লাখ চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বর্তমানে করোনাভাইরাসের দুটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ব্রাজিলে চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে একটি উদ্ভাবন করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরটি চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক গবেষণাগার।