ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা নবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র: পম্পেও

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, জাতিসংঘের পর্যালোচনার আওতায় ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়ন করতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা নবায়নের ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হবে। ভেটো প্রদানের ক্ষমতাসম্পন্ন দুই দেশ চীন ও রাশিয়া এরইমধ্যে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।

পম্পেও

ইরানের বিরুদ্ধে ২০০৬/২০০৭ সালে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতা সই হওয়ার পর নিরাপত্তা পরিষদে ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে তা অুনমোদন দেয়া হয়। এ প্রস্তাবের আওতায় আগামী ১৮ অক্টোবর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তবে এ মেয়াদ নবায়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সরকার ইউরোপসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। দেশটি ইরানবিরোধী অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপনের প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত কেউ তাতে সমর্থন দেয়নি। এরপর ভোটাভুটি পিছিয়ে দিয়ে আমেরিকা শক্ত অবস্থান থেকে সরে এসে কিছুটা নরম শর্তে প্রস্তাবটি সংশোধন করে তা ফের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। ইরানের দাবি আমেরিকা যে চেষ্টা চালাচ্ছে তা ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র দুই বছর আগেই পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে। এ কারণে এ বিষয়ে কথা বলার আইনগত অধিকার তাদের নেই।

 মধ্য ইউরোপ সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে অস্ট্রিয়াতে আছেন পম্পেও। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ যেন শেষ না হয় তা নিশ্চিত করতে আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাব। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভোটাভুটি হবে। আশা করছি আমরা সফল হব।’

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমেরিকা আগের প্রস্তাব বদল করে নতুন যে ‘নরম প্রস্তাব’ দিয়েছে তাতে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুটি প্রস্তাবের কোনটিই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উঠতে পারে না কারণ সবই নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের লঙ্ঘন।