যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান অস্ত্র চুক্তি, চীনের ক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিনতে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছে তাইওয়ান। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে এটি  এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অস্ত্র চুক্তি। এই চুক্তির কারণে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-এর প্রতিবেদনে একে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

noname

চুক্তির আওতায় তাইওয়ানের কাছে ৯০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১০ বছর ধরে তাইওয়ান এসব বিমান হাতে পাবে। শুক্রবার বিশাল এই চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। তাইওয়ানকে যেসব বিমান দেওয়া হবে তা হবে এফ-১৬ প্রযুক্তির সর্বাধুনিক ভার্সন।

গত বছরই তাইওয়ানকে ৬৬টি এফ-১৬ সরবরাহ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং তখন চুক্তি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্রকে। চুক্তির পর চীন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, তাইপেকে এফ-১৬ সরবরাহ করলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে ওয়াশিংটনকে।

১৯৯২ সালে তাইওয়ানকে প্রথম যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে ওয়াশিংটন। তবে চীন সবসময় বলে আসছে তাওয়ান তার নিজের ভূখণ্ড এবং তাইপেকে আলাদা করে অস্ত্র সরবরাহ করা এক চীন নীতির লঙ্ঘন। তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র চুক্তিকে চীন তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে মনে করে।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র মনে করলেও চীন এখনও তাদের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি। বরং তাইওয়ানকে তারা তাদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে এবং বলপ্রয়োগ করে হলেও একদিন অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবে বলে বিশ্বাস করে। বেইজিং তাই সব সময় যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানের বিষয়ে তাদের ‘এক চীন নীতি’র প্রতি শ্রদ্ধা রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে।