অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে স্নায়বিক সমস্যায় পড়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবী

সম্প্রতি একজন নারী স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা জানিয়ে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এই ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, টিকা গ্রহণের পর জটিল স্নায়বিক সমস্যায় পড়েছিলেন ওই নারী স্বেচ্ছাসেবক। তবে ক্রমশঃ তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। স্বাস্থ্য বিষয়ক মার্কিস সংবা্দমাধ্যম স্ট্যাট নিউজ-এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

1

৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের মাঝে এক স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর সামনে আসায় পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিবৃতিতে  জানানো হয়, সুরক্ষার জন্যই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যা খতিয়ে দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্ট্যাট নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সংস্থার সিইও পাস্কাল সরিয়ট বিনিয়োগকারীদের সঙ্গের এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বলেছেন, টিকা দেওয়ার কিছুদিন পরেই স্পাইনাল ইনফ্ল্যামেশন হতে শুরু করে ওই নারীর।  তীব্র প্রদাহ তৈরি হয় স্নায়ুর কোষে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

সরিয়ট জানিয়েছেন, ওই নারী ক্রমশঃ সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং দ্রুত তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে অ্যাস্ট্রজেনেকার মুখপাত্র ম্যাথিউ কেন্ট বলেছেন, যে নারীর রোগ ধরা পড়েছিল তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। কী কারণে ওই নারীর শরীরে এমন রোগ দেখা দিয়েছিল তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এপ্রিল থেকেই। প্রথম দু’জনের শরীরে ইনজেক্ট করা হয়েছিল ভ্যাকসিন। তাদের মধ্যে একজন নারী বিজ্ঞানী। নাম এলিসা গ্রানাটো।  তারপর প্রথম পর্যায়ে কম সংখ্যক মানুষের শরীরে টিকার পরীক্ষা করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে হাজারের বেশি জনকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।