পার্লামেন্টে সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করবেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

লাদাখে চীনের সঙ্গে তৈরি হওয়া সীমান্ত জটিলতা নিয়ে পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে যাচ্ছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। কার্যসূচি অনুযায়ী এদিন স্থানীয় সময় বেলা তিনটায় পার্লামেন্টের কার্যক্রমের শুরুতেই বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তার। সীমান্ত ইস্যুতে গত কয়েক দিন ধরে বিরোধী দল কংগ্রেসের ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে রয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

গত কয়েক মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনী। সোমবার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় পার্লামেন্টের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। এর অর্থ হলো এই ইস্যুতে পার্লামেন্টের পরবর্তী অধিবেশনে আলোচনা হবে আর এজন্য সময় বরাদ্দ থাকবে।

চীন-ভারত অচলাবস্থা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ভারতের পার্লামেন্টারি বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোসি বলেন, পরিস্থিতির স্পর্শকাতরতা এবং কৌশলগত অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে নেতাদের এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।

গত এপ্রিল থেকে প্যানগং লেক এবং আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় চীনা সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের খবর আসতে থাকার পর ভারত সরকারের ওপর বিবৃতি দেওয়ার চাপ জোরালো হতে থাকে। গত জুনে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে সংঘাতে জড়ায় দুই দেশের সেনাবাহিনী নিহত হয় ২০ ভারতীয় সেনা। গত তিন সপ্তাহে আরও অন্তত দুইবার সংঘাত পরিস্থিতিতে চলে যায় দুই সেনাবাহিনী। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে দাবি করা হয়, চীনা আগ্রাসন রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনারা।

চীনের সঙ্গে বিরোধের পর প্রতিবারই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সরকারের কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখার প্রকৃত অবস্থা প্রকাশের এবং সংকট নিরসনে সরকারের প্রস্তাব তুলে ধরার আহ্বান জানান।

গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের কয়েক দিনের মাথায় লাদাখ সফরে যান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেনা সদস্যদের নৈতিক মনোবল বাড়াতে ওই সফরের আয়োজন করা হয় বলে বিজেপি দাবি করলেও এর কঠোর সমালোচনা করে কংগ্রেস। সর্ব দলীয় এক বৈঠকে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী ক্ষমতাসীন দলের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, শেষ পর্যায়েও দেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখেছে সরকার।