আরবদের সঙ্গে চুক্তির ফলে ইসরায়েলের অর্থভাণ্ডার ব্যাপক সমৃদ্ধ হবে: নেতানিয়াহু

আরবদের সঙ্গে চুক্তির ফলে ইসরায়েলের অর্থভাণ্ডার ব্যাপক সমৃদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটনে যাওয়ার প্রাক্কালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।noname

ওয়াশিংটনে এ সফরকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে দুই আরব দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এটা অসাধারণ। আর এই করোনার সময়ে এটা আরও চমকপ্রদ। এর চুক্তিগুলো ইসরায়েলের কোষাগারে লাখ লাখ ডলার নিয়ে আসবে।

১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইনের আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। নিজ নিজ দেশের পক্ষে আব্রাহাম অ্যাকর্ড নামের এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন সমঝোতার মধ্যস্থতাকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আমিরাত ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এটিকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প।

মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি প্রভাব বলয়ের দুই দেশ আমিরাত-বাহরাইনের সঙ্গে এ চুক্তির মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে নিজের বিচ্ছিন্ন অবস্থা কাটাতে সমর্থ হবে ইসরায়েল। এছাড়া আরবদের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে আসায় জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের ব্যাপারেও এখন আরও শক্ত অবস্থান নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে দেশটির। কেননা, একাধিক মুসলিম দেশ এরইমধ্যে ইসরায়েলকে মেনে নিয়েছে। ফলে আল আকসা মসজিদকেন্দ্রিক মুসলিম বিশ্বের চাপ অনেকটাই হালকা হয়ে গেলো দেশটির জন্য।

সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রকাশ্য কোনও ঘোষণা না এলেও গত কয়েক বছর ধরেই দেশ দুটির গোপন সম্পর্কের কথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েল ইস্যুতে কথা বলেন এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ। তিনি বলেন, বহু বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। আর ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি ইসরায়েলিদেরও তাদের নিজেদের ভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের ‘অধিকার’ রয়েছে।

সম্প্রতি ইসরায়েল-আমিরাতের মধ্যকার ফ্লাইট চলাচলের জন্য সৌদি আকাশসীমা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। অর্থাৎ রাজতান্ত্রিক আরব সরকারগুলো ক্রমেই ইসরায়েলকে মেনে নিচ্ছে। তবে আরব দেশগুলোর এমন অবস্থানকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির রাজনীতিকরা। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর, আল জাজিরা।