আরও পাঁচ দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে: হোয়াইট হাউস

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পর আরও পাঁচটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি করার কথা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোজ। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক নির্বাচনি প্রচারণায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহী দেশগুলোর নাম প্রকাশ করেননি তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোজ

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে একসময় দখলদার শক্তি হিসেবে বিবেচিত হওয়া ইসরায়েলের সঙ্গে গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে উপনীত হয় দুই আরব দেশ। ১৫ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এ চুক্তিতে উপনীত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়। এ চুক্তিকে 'নতুন মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাত' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। তবে ফিলিস্তিনিরা মনে করে এই চুক্তি তাদের পেছন থেকে ছুরিকাঘাত।

বৃহস্পতিবার এয়ারফোর্স ওয়ানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উইসকিনসনে নির্বাচনি প্রচারণায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোজ জানান, আরও পাঁচ দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি করতে আগ্রহী। এরমধ্যে তিনটি দেশই ওই অঞ্চলের বলে জানান তিনি। তবে এরচেয়ে বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তিস্বাক্ষরের পর আরও দেশ তা অনুসরণ করতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর একটি সম্ভাব্য দেশ হতে পারে ওমান। হোয়াইট হাউসে চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। এদিকে মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।