শুক্র গ্রহের কর্তৃত্ব দাবি রাশিয়ার

পৃথিবীর আঞ্চলিক সীমা ছাড়িয়ে এবার শুক্র গ্রহের ওপর কর্তৃত্বের দাবি তুলেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, এটি রাশিয়ান গ্রহ। এ সপ্তাহে রাশিয়ান মহাকাশ করপোরেশন রসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্বপরিকল্পিত অভিযান ছাড়াও শুক্র গ্রহে নিজস্ব অভিযান পরিচালনা করা হবে। হেলিকপ্টার শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হেলিরাশিয়া ২০২০-তে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মস্কোতে এসব কথা জানান তিনি। শনিবার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।পৃথিবী থেকে খালি চোখে উজ্জ্বলভাবে দেখতে পাওয়া যায় শুক্র গ্রহ

গত সপ্তাহে শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে জীবনের সম্ভাবনা দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গ্রহটির পৃষ্ঠতল থেকে ৫০ কিলোমিটার ওপরে ফসফিন নামে একটি গ্যাস শনাক্ত করার পর এই সম্ভাবনার কথা জানান। পৃথিবীতে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় এই পরমাণুটি কীভাবে সেখানে পৌঁছেছে তা নির্ণয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।

আরও পড়ুন: শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের ওই দাবির পর রাশিয়ান মহাকাশ করপোরেশন রসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্র গ্রহে অনুসন্ধান পুনরায় শুরু করা আমাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে। আমরা মনে করি শুক্র একটি রাশিয়ান গ্রহ, সে কারণে আমাদের পিছিয়ে পড়া উচিত হবে না। ভেনাস অভিযানের প্রকল্প ২০২১ থেকে ২০৩০ সালের রাশিয়ার মহাকাশ অনুসন্ধান প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে।’

পৃথিবীর মতো একই আকারের গ্রহ শুক্র। পৃথিবী থেকে সবচেয়ে নিকটবর্তী এই গ্রহটি সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ যেদিকে আবর্তিত হয় তার বিপরীত দিকে ঘূর্ণায়মান।

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মতে, শুক্র গ্রহ নিয়ে আলাপ উঠলে স্বীকার করতে হবে যে রাশিয়ানদের এই গ্রহটি নিয়ে বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত শুক্র গ্রহ নিয়ে রাশিয়ায় যে গবেষণা হয়েছে তা এই গ্রহে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণার শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। ওয়েবসাইটটি বলছে, ‘তখন থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়া শুক্র গ্রহে অবতরণকারী যানের নকশা এবং উন্নয়নে অনন্য অভিজ্ঞতা ধারণ করছে এবং সেসব যানের বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড ব্যাখ্যা করা অব্যাহত রেখেছে।’