বিক্ষোভ উপেক্ষা করে ভারতের রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাস

তুমুল বিক্ষোভ উপেক্ষা করেই ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভায় পাস হলো নতুন দুই কৃষি বিল। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) উত্তপ্ত বিতর্ক শেষে কণ্ঠ ভোটে বিলগুলো পাস হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমোদন পেলেই বিলগুলো আইনে পরিণত হবে। এ বিলকে ‘কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা’ আখ্যা দিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

‘অত্যাবশ্যক পণ্য আইন’ সংশোধন, ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’ সংক্রান্ত বিল তিনটি সম্প্রতি লোকসভায় পাস হয়েছে। রবিবার ‘কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’ সংক্রান্ত বিল দু’টি পেশ হয় রাজ্যসভায়। 

রবিবার সকাল থেকেই কৃষি বিল নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের উচ্চ কক্ষ। কংগ্রেসের পাশাপাশি অন্য বিরোধী দলও ওই বিল নিয়ে বিরোধিতা করে। এমনকি হুঁশিয়ারি এসেছে ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ-এর শরিক আকালি দলের তরফ থেকেও। আন্দোলনকারী কৃষক এবং বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, এই বিলগুলিতে কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় ব্যবসায়ী এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে একতরফা ভাবে ফসলের দাম নির্ধারণ এবং মজুতদারির অধিকার দেওয়া হয়েছে। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি এই বিলগুলি নিয়ে কৃষকদের মধ্যে বিরোধীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

রবিবার কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জোরালো করে হরিয়ানার কৃষকরা। রাজ্যের সব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে তারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে রাজ্য সরকার। পাঞ্জাবে কৃষি বিলের প্রতিবাদে যুব কংগ্রেসের ডাকে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সেখানে বনধ ডাকা হয়েছে। লকডাউনের জেরে সেভাবে রেল যাতায়াত না হলেও, কৃষি বিলের প্রতিবাদে পাঞ্জাবে আগামী ২৪ ও ২৬ তারিখ ‘রেল রোকো’ বা রেল বন্ধ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ৭টি সংগঠন।