লন্ডনে থানার ভেতরে পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি থানার ভেতরে এক পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আটককৃত এক ব্যক্তিকে তল্লাশি চালানোর সময় ওই পুরুষ কর্মকর্তাকে পাঁচটি গুলি করা হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল তার। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রাতভর চিকিৎসা দেওয়ার পরও প্রাণ হারান ওই কর্মকর্তা। স্থানীয় সময় ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় ২৩ বছর বয়সী সন্দেহভাজন অপরাধী নিজের ওপরও গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।ক্রায়োডন কাস্টডি সেন্টারে নিহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা

সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটকের পর নেওয়া হয় দক্ষিণ লন্ডনের ক্রায়োডন কাস্টডি সেন্টারে। সেখানে তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ কর্মকর্তার ওপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সকালে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক কর্মীরা।

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, উইন্ডমিল রোডে অবস্থিত ওই থানায় কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হলেও সে সময় পুলিশের কোনও অস্ত্র খোয়া যায়নি। নিহত কর্মকর্তার পরিবারকে বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা সহায়তা দিচ্ছেন বলেও জানানো হয় মেট্রোপলিটন পুলিশের ওই বিবৃতিতে। গুলিবিদ্ধ আহত তরুণকে হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।

আটক হওয়ার পরও কোনও সন্দেহভাজন অস্ত্র নিয়ে থানা ভবনে কীভাবে প্রবেশ করতে পারে জানতে চাইলে মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক এক সুপারিনটেনডেন্ট বিবিসিকে বলেন, ‘এটা নির্ভর করে যে সেই ব্যক্তিকে হয়তো থানার বাইরে থেকে আটক করা হয়েছে আর গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়েছে। আবার এমনও হতে পারে কোনও ব্যক্তি হয়তো থানার অভ্যন্তরে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েছে। ফলে বিস্তারিত না জেনে এই ক্ষেত্রে কী ঘটেছে তা বলা যায় না।’
ওই থানায় পূ্র্বে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা ক্যাথেরিন টাকার বলেন, ‘ওই পুলিশের সঙ্গে যা ঘটেছে তা সত্যিই অগ্রহণযোগ্য, কিন্তু ওই অপরাধীর জন্যই আমার কষ্ট হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, ক্রায়োডনে এই গুলির ঘটনায় আমি অবাক হইনি। সেখানে পুলিশ ও তরুণদের মধ্যে উত্তেজনা আছে। বিশেষ করে তাদের থামানো ও তল্লাশি নিয়ে এবং যেভাবে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পুলিশ সম্পর্কযুক্ত তা নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে।’