ট্রাম্পকে পুতিনের ‘পোষা কুকুর’ বললেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘পোষা কুকুরছানা’ আখ্যা দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিতর্কে বাইডেন বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প।

noname

ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে ৯০ মিনিটের ওই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ৩৫ দিন আগে অনুষ্ঠিত বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের মধ্যে উত্তপ্ত বিতর্ক চলে। তারা বিশ্বাসযোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা নিয়ে একে অন্যকে আক্রমণ করেন।
এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বিধিনিষেধের কারণে বিতর্কমঞ্চে ওঠার পর ট্রাম্প ও বাইডেন পরস্পর হাত মেলাননি। নভেম্বরের নির্বাচনে প্রার্থীরা কেন বাইডেনকে ভোট দেবে; এমন প্রশ্নের উত্তরে ডেমোক্র্যাট এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকা রাষ্ট্র হিসেবে দূর্বল হয়ে গেছে। তবে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সরাসরি মোকাবিলা করবেন।
রুশ সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে আফগান জঙ্গিদের অর্থ দিয়েছে; এ বছর জুনে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এমন একটি প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, এ ব্যাপারে ট্রাম্প এখনও কোনও প্রতিক্রিয়াই জানাননি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরইমধ্যে আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন ১০ লাখ ভোটার। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের কাছে টানতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন। তবে করোনা মহামারিজনিত পরিস্থিতির ফলে নানা বিধি নিষেধের কারণে এবার কোনও পক্ষই বড় ধরনের শোডাউন করতে সমর্থ হয়নি।
নির্বাচনি বিতর্কের জন্য গঠিত নিরপেক্ষ কমিশন প্রশ্নের জন্য মোট ছয়টি বিষয় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এর মধ্যে করোনা মহামারির বিষয়টিরও উল্লেখ রয়েছে।
প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত ছয়টি বিষয় হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি, সাফল্য-ব্যর্থতার খতিয়ান, সুপ্রিম কোর্ট, অর্থনীতি, বর্ণবৈষম্য ও সহিংসতা এবং নির্বাচনে বিশুদ্ধতা। দুই প্রার্থীকেই প্রতি প্রশ্নের জন্য ১৫ মিনিট করে সময় দেওয়া হয়। যদিও নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুযোগ পেলেই প্রতিপক্ষ একহাত নিয়েছেন দুই প্রার্থী।
সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রমণে ব্যস্ত রাখার মধ্য দিয়ে মূলত নির্বাচন সংক্রান্ত মৌলিক বিষয়গুলোর আলোচনা থেকে বাইডেনকে দূরে সরিয়ে রাখার কৌশল নেন ট্রাম্প।