চীনের বিরুদ্ধে সংহতি জোরদারে জাপানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনার মধ্যেই মঙ্গলবার জাপান সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। মূলত চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সংহতি জোরদারের লক্ষ্যেই তার এ সফর। সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগাসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।noname

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পম্পেও আশাবাদ জানিয়ে বলেন, তার বিশ্বাস সুগার মেয়াদে ওয়াশিংটন-টোকিও সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।

জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পম্পেও বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি স্থাপনে তিনি ইয়োশিহিদে সুগার সঙ্গে একমত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এটা বিশ্বাস করার যাবতীয় কারণ রয়েছে যে, জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী আমাদের জোটকে আরও টেকসই শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবেন।

এদিকে এশিয়ার দেশগুলোতে পূর্বনির্ধারিত সফরসূচি সংক্ষিপ্ত করেছেন পম্পেও। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সফরসূচিতে এ পরিবর্তন আনেন তিনি। জাপান সফরে গেলেও এ মুহূর্তে পূর্বনির্ধারিত সফরসূচিতে থাকা মঙ্গোলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন না তিনি।

পম্পেও জানিয়েছেন, তিনি এখন পর্যন্ত শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। তারপরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন।

এদিকে হাসপাতাল ছেড়েছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারে তিন রাত কাটানোর পর সোমবার হোয়াইট হাউজে ফেরেন তিনি। ফিরেই সাংবাদিকদের সামনে ফটোসেশনের জন্য মাস্ক খুলে ফেলেন তিনি।

এরইমধ্যে হোয়াইট হাউজে নতুন করে ট্রাম্পের একজন ব্যক্তিগত সহকারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তার নির্বাচনি প্রচারণায়ও এর প্রভাব পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে কেমন লাগছে? একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, খুবই ভালো।

হেলিকপ্টারযোগে হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউজ চত্বরে ফেরেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি মাস্ক খুলে হাত নাড়ান এবং থাম্ব আপ সাইন দেখান। পরে মাস্ক পকেটে নিয়ে হেঁটে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশ করেন তিনি।

পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ করোনাভাইরাসকে দেবেন না। সাবধান থাকুন। এটিকে ভয় পাবেন না। আমরা কাজে ফিরছি।