বিক্ষোভ সত্ত্বেও পদত্যাগে নারাজ থাই প্রধানমন্ত্রী

জরুরি অবস্থা জারি করেও বিক্ষোভ থামাতে পারেনি থাইল্যান্ডের সরকার। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও লাঠিচার্জ ব্যবহার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা’র পদত্যাগ দাবিতে অনড় থাকলেও সরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

বিক্ষোভের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সকালে থাই সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ থামানোর লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বড় ধরনের যে কোনও সমাবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

তবে জরুরি অবস্থা অগ্রাহ্য করে আবারও রাজধানী ব্যাংককে রাজপথে নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের মুখেও  শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী  প্রায়ুথ চান-ওচা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি পদত্যাগ করছি না।’ তিনি বলেন, ‘সরকারকে জরুরি ডিক্রি কাজে লাগাতে হবে। আমাদেরকে এপথে এগুতে হবে, কারণ পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠেছে…এই জরুরি ডিক্রি ৩০ দিনের জন্য বহাল রাখা হচ্ছে, বা তার চেয়ে কম দিনও থাকতে পারে যদি পরিস্থিতি শান্ত হয়। আমরা জনগণকে এই জরুরি অবস্থার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন না করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিচ্ছি। আমরা বলছি, অপেক্ষা করুন, দেখুন কি হয়… আপনারা ভুল কিছু করলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’

এর আগে জরুরি অবস্থা অমান্য করে ব্যাংককে বিক্ষোভে নামে প্রায় দশ হাজার মানুষ। তাদের ঠেকাতে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। জলকামান ব্যবহার ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ।