ক্ষুধা নিরসনে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

ক্ষুধা ও অপুষ্টি নিরসনে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশ বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে। ১০৭টি দেশের তথ্য নিয়ে প্রকাশ করা এবছরের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে মিয়ানমার, ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই সূচক প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম। আর মিয়ানমার ৭৮তম, পাকিস্তান ৮৮তম এবং ভারতের অবস্থান ৯৪তম।noname

গত বছর ১১৭টি দেশের মধ্যে ক্ষুধা সূচক প্রকাশ করা হয়। ওই বছর ভারতের অবস্থান ছিলো ১০২তম আর বাংলাদেশ ছিলো ৮৮তম অবস্থানে। তবে এবারে উভয় দেশের অবস্থারই পরিবর্তন ঘটেছে।

১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে প্রতিটি দেশের স্কোর হিসাব করে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক প্রকাশ করে থাকে ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট। সূচকে সবচেয়ে ভালো স্কোর হলো শূন্য। স্কোর বাড়ার অর্থ হলো সেই দেশের ক্ষুধা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আর স্কোর কমে যাওয়ার অর্থ হলো সেই দেশের খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

এবারের সূচকে পাঁচেরও কম স্কোর নিয়ে ক্ষুধা সূচকের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ১৭টি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে চীন, বেলারুশ, ইউক্রেন, তুরস্ক, কিউবা ও কুয়েত।

ক্ষুধা সূচক অনুযায়ী, ভারতের ১৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী অপুষ্টিতে ভুগছে। এতে দেখা গেছে, দেশটির পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে যথাযথভাবে বেড়ে না ওঠার হার ৩৭.৪ শতাংশ। এই বয়সের শিশুদের মৃত্যু হার ৩.৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১৩ শতাংশ জনগোষ্ঠী অপুষ্টির শিকার। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৯.৮ শতাংশের উচ্চতার তুলনায় ওজন কম; এই শিশুদের ২৮ শতাংশ শিশুর উচ্চতা বয়সের অনুপাতে কম এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ। গত বছর এই চার ক্ষেত্রে হার ছিল যথাক্রমে ১৪.৭ শতাংশ, ১৪.৪ শতাংশ, ৩৬.২ শতাংশ এবং ৩.২ শতাংশ।

গতবারের মতো এবারও ক্ষুধার সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা (৬৪তম)। আর সাত দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান (৯৯তম)। মিয়ানমার ছাড়া সূচকে আসা এ অঞ্চলের সব দেশেরই অবস্থার উন্নতি হয়েছে।