ইয়েমেনে সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়

ইয়েমেনের পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে বড় আকারের বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করেছে যুদ্ধরত পক্ষগুলো। দুই দিনের এই বন্দি বিনিময় কর্মসূচি শুক্রবার সম্পন্ন হয়। এই সময়ে এক হাজারেরও বেশি বন্দি মুক্তি পেয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছে। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহী এবং সৌদি আরব সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একটি চুক্তিতে উপনীত হয় ইয়েমেনের যুদ্ধরত পক্ষগুলো। স্টকহোম চুক্তি নামে পরিচিত ওই চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়ের কথা উল্লেখ ছিলো। প্রায় দুই বছরের মাথায় আংশিক বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হলেও চুক্তির অনেক অংশই এখনও কোনও অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেনি।
গত মাসে সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে ঐক্যমতে পৌছায় সরকার ও হুথি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিরা। আর সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৬৭১ বন্দি রাজধানী সানায় ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

বিদ্রোহীদের কর্মকর্তা আবদেল কাদের আল মোরতাদা জানিয়েছেন, আরও এক দফা বন্দি বিনিময় করতে ইতোমধ্যে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ। বিস্তারিত বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে কোথায় বৈঠকে বসা হবে তা নিয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ইয়েমেনে বন্দি বিনিময়কে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি এটাকে স্টকহোম চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আখ্যা দিয়েছেন। এক মুখপাত্রের মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি যৌথ ঘোষণা চূড়ান্তকরণ, দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি এবং অর্থনৈতিক ও মানবিক পদক্ষেপ চূড়ান্ত করতে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

ইয়েমেনের বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া সম্পন্নের দায়িত্ব পালন করেছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। কমিটি জানিয়েছে, বন্দিদের নিয়ে ১১টি ফ্লাইট পাঁচটি বিভিন্ন শহরে অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন করেছে। শহরগুলো হলো ইয়েমেনের সানা, সেইয়ুন ও আডেন এবং সৌদি আরবের রিয়াদ ও আভা।