ইসরায়েল, বাহরাইন ও আমিরাতে যাচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী

ইসরায়েল, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওই তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল। অর্থমন্ত্রী স্টিভ ম্নুচিনের নেতৃত্বাধীন দলটি কয়েক দিনের মধ্যে এই সফর শুরু করবে। শুক্রবার মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যস্ততায় স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে একসময় দখলদার শক্তি হিসেবে বিবেচিত হওয়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে উপনীত হয় দুই আরব দেশ। ১৫ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এ চুক্তিতে উপনীত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়। এ চুক্তিকে 'নতুন মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাত' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। তবে ফিলিস্তিনিরা মনে করেন এই চুক্তি তাদের পেছন থেকে ছুরিকাঘাত।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী স্টিভ ম্নুচিনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যুক্ত হয়ে সরাসরি ফ্লাইটে ইসরায়েল থেকে বাহরাইনে পৌছাবেন। মানামায় বাহরাইনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তারা আবু ধাবির উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে একটি বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর প্রতিনিধি দলটি তেল আবিব ফিরে যাবে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

আগামী ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে দুই আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের স্বাক্ষরিত চুক্তি ব্যবহার করতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন ভোটারদের তিনি দেখাতে চান ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের চেয়ে তিনিই ইসরায়েলের বেশি ভালো বন্ধু। তবে বেশিরভাগ মার্কিন ভোটারের কাছে ওই চুক্তির গুরুত্ব কম হলেও ট্রাম্পের খ্রিস্টান সমর্থকরা তার ইসরায়েল পন্থী অবস্থানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।