নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ চলছেই

জমায়েতের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে দেশটির হাজার হাজার নাগরিক। গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার পরও শহরটির তিনটি আলাদা স্থানে সমবেত হয় বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও রাজতন্ত্র সংস্কারের দাবিতে এই বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহারের নিন্দান জানান শনিবারের বিক্ষোভে যোগদানকারীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

বিক্ষোভের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সকালে থাই সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ থামানোর লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বড় ধরনের যে কোনও সমাবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে তা উপেক্ষা করে সেদিন এবং তারপর দিনও সমবেত হয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জল কামান ব্যবহার করে পুলিশ।

শনিবার বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২৫ বছর বয়সী এক সরকারি কর্মচারি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনও অস্ত্র নেই, কেবল আছে ছাতা।’ জল কামানে পানির সঙ্গে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি দাবি করেন ওই পানি চোখে লাগলে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। মিন নামে আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন, কিন্তু বাইরে বের না হলে আমার ভবিষ্যতও নেই।’

শনিবারের বিক্ষোভে অনেকেই হেলমেট ও গ্যাস মাস্ক নিয়ে হাজির হয়। অনেকের কাছে থাকা প্লাকার্ডে লেখা ছিলো ‘আমাদের হত্যা করা যাবে না, আমরা সবখানে’, ‘মানুষকে আঘাত করা বন্ধ করো’।

ব্যাংকক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, শনিবারের বিক্ষোভে যোগ দেয় প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এদিন মূলত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থেকে দূরে অবস্থান নেয়। পুলিশের মুখপাত্র ইয়েনগিয়োস থেপজামনং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে দরকষাকষি করবো। ধাপে ধাপে আইনপ্রয়োগ করা হবে, আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে।’

এদিকে, বিক্ষোভ সত্ত্বেও পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করছি না।’