ভারত-চীন সীমান্তের শান্তি গভীরভাবে বিঘ্নিত হয়েছে: জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর বলেছেন চীনের সঙ্গে তার দেশের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) শান্তি ও স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। আর নিশ্চিতভাবেই এর প্রভাব দুই দেশের সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শনিবার নিজের লেখা বই ‘দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে’ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে এসব মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

বিগত পাঁচ মাস ধরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পূর্ব লাদাখের ওই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উভয় পক্ষ ৫০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন রেখেছে। আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিরসনে দুই দেশ ঐক্যমতে পৌঁছালেও সীমান্ত উত্তেজনার নিরসন এখনও হয়নি।

শনিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, চীন-ভারত সীমান্ত প্রশ্ন খুবই জটিল এবং কঠিন ইস্যু। তিনি বলেন, ভারত ও চীনের সম্পর্ক এক সময় খুবই কঠিন থাকলেও ১৯৮০’র দশকের শেষ থেকে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বাণিজ্য, ভ্রমণ, পর্যটন এবং সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সম্পর্ক সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমাদের অবস্থান এমন নয় যে আমরা সীমান্ত প্রশ্নের সমাধান করবো। আমরা বুঝতে পারি যে এটা খুবই জটিল এবং কঠিন ইস্যু। বিভিন্ন পর্যায়ে বহু দরকষাকষি হয়েছে... একটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে সেটা খুবই বড় বাধা।’ তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলছি খুব বেশি মৌলিক একটি বাধা নিয়ে। সেটি হলো সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অবশ্যই শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে আর ১০৯৮০’র দশকের শেষ থেকেই তা বজায় ছিলো।’ ‘এখন যদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা গভীরভাবে বিঘ্নিত হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই তার প্রভাব সম্পর্কের ওপর পড়বে আর এখন আমরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি’, বলেন তিনি।

এস জয়শঙ্কর বলেন ভারত ও চীন উভয় দেশেরই বিশ্ব পর্যায়ে উত্থান ঘটছে আর উভয়েই আরও বৃহত্তর ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে তবে বড় প্রশ্ন হলো দেশ দুটি কিভাবে নিজেদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখবে। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই মৌলিক প্রশ্নটি আমি আমার বইতে উল্লেখ করেছি।’ গত এপ্রিলে দুই দেশের সীমান্ত বিরোধ শুরুর আগেই বইটির পান্ডুলিপি তৈরি শেষ হয় বলেও জানান তিনি।