মার্কিন গোয়েন্দা বিমানকে অবতরণের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি ইন্দোনেশিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা বিমানকে নিজ দেশে অবতরণের অনুমতি দিয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ইন্দোনেশিয়ার চার জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এটি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।noname

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই গোয়েন্দা বিমানগুলো ছিল প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পি-৮ পোসেইডন মেরিটাইম সার্ভেইলেন্স প্লেন। এই বিমানগুলো মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতার প্রতি নজর রাখে। মার্কিন কর্মকর্তারা এগুলোকে ইন্দোনেশিয়ায় অবতরণ এবং সেখান থেকে জ্বালানি নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে এমন আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে জাকার্তা।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো যুক্তরাষ্ট্রের ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যানের আগে বিষয়টি নিয়ে জাকার্তার উচ্চ পর্যায়ে দফায় দফায় যোগাযোগ করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ফলে দৃশ্যত উচ্চ পর্যায়ের এসব যোগাযোগ কোনও কাজে আসেনি।

এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রেস অফিস এবং জাকার্তায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসও রয়টার্সের এ সংক্রান্ত অনুসন্ধানের কোনও জবাব দেয়নি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব‌্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে অপেক্ষাকৃত উদার নীতি সুবিদিত। দেশটি কখনও বিদেশি সামরিক বাহিনীকে সেখানে কাজ করার অনুমতি দেয়নি।