‘নতুন সরকারে মোরালেসের কোনও স্থান নেই’

বলিভিয়ার নতুন সরকারে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের কোনও স্থান নেই। এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ আরস। এবারের নির্বাচনে মোরালেসের দল মুভমেন্ট ফর সোশ্যালিজম পার্টির টিকিটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন লুইজ আরস। তবে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই পূর্বসূরির ব্যাপারে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন তিনি।

আর্জেন্টিনায় নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস বর্তমানে মুভমেন্ট ফর সোশ্যালিজম পার্টির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে লুইজ আরস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মোরালেস দলীয় দায়িত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন।

দলের প্রধান কার্যালয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে লুইজ আরস বলেন, ‘আমাদের সরকার তার (মোরালেস) কোনও ভূমিকা থাকবে না।‌’

লুইজ আরস বলেন, মোরালেস চাইলে দেশে ফিরতে পারেন। কারণ তিনি একজন বলিভিয়ান। কিন্তু সরকার যেহেতু আমার ফলে প্রশাসনে কে থাকবে কিংবা থাকবে না; সেই সিদ্ধান্তও আমার।

রবিবারের নির্বাচনে লুইজ আরসের বিজয় স্পষ্ট হলেও সরকারিভাবে ফল ঘোষণার বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার এক বছরের মাথায় ফের গণরায় নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দেশটির বামপন্থীরা। বেসরকারি ফল ঘোষণার পর বুয়েন্স আয়ার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে ইভো মোরালেস বলেছেন, ‘আজ হোক আর কাল হোক আমি বলিভিয়ায় ফিরছি। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। এটি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

২০১৯ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর বলিভিয়ায় শুরু হয় সহিংস বিক্ষোভ। এর জেরে এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর চাপের মুখে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন বামপন্থী নেতা ও দেশটির প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। পরে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন কনজারভেটিভ সিনেটর জেনাইন আনিয়েজ। তবে ওই প্রক্রিয়াকে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করে মোরালেস সমর্থকরা।

এবারের নির্বাচনে ইভো মোরালেসকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার দলের প্রার্থী লুইজ আরস হতে যাচ্ছেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। ৫৭ বছরের লুইজ আরস পূর্বসূরি ইভো মোরালেস-এর মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মন্ত্রী হিসেবে তিনি বলিভিয়ার খনি, গ্যাস ও টেলিযোগাযোগ শিল্প জাতীয়করণের তদারকি করেছেন। এছাড়া আঞ্চলিক দেশগুলোর অবকাঠামো এবং সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে তহবিল যোগানোর লক্ষে ব্যাংক অব দ্য সাউথ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করতেও সহায়তা দেন তিনি। মোরালেসের পদত্যাগের পর নিজেও দুই মাস বিদেশে কাটান ৫৭ বছরের লুইস আর্ক।