নাইজেরিয়ায় সহিংসতায় ৬৯ জন নিহতের স্বীকারোক্তি প্রেসিডেন্টের

পুলিশ বাহিনী সংস্থারের দাবিতে নাইজেরিয়ায় চলমান বিক্ষোভে বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ৬৯ জন নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর)  সহিংসতার জন্য গুন্ডামিকে দায়ী করে তিনি বলেন নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। তবে পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।noname

পুলিশের বিতর্কিত ইউনিট  স্পেশাল অ্যান্ডি রোবারি স্কোয়াড বা সার্স ভেঙে দেওয়ার দাবিতে গত ৭ অক্টোবর থেকে নাইজেরিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। তরুণদের শুরু করা এই আন্দোলন ব্যাপক আকার নিলে ১১ নিলে ওই ইউনিটটি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। তারপরও নিরাপত্তা বাহিনী ও দেশ পরিচালনা ব্যবস্থায় আরও সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।

মানবাধিকার গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনকারীদের একটি বড় জমায়েত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় তাদের ওপর গুলি চালায় সেনা সদস্যরা। এতে অন্তত ১২ বিক্ষোভকারী নিহ হয়। ওই ঘটনার পর নাইজেরিয়ার নিন্দায় সরব হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,  দাঙ্গাকারীরা ১১ পুলিশ সদস্য ও সাত সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। তারপরও সহিংসতা থামছে না বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া গত কয়েক বছরের মধ্যে নাইজেরিয়ার সবচেয়ে বড় সহিংসতায় আরও অন্তত ৩৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন বলে জানান প্রেসিডেন্ট। তিনি দাবি করেন, ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন গুন্ডারা ছিনতাই করে নিয়েছে।

তবে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে হতাশ হয়েছে বেশিরভাগ নাইজেরীয় নাগরিক। বৃহস্পতিবার রাতের ভাষণে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি চালানোর কথা উল্লেখ করেননি বরং এর বদলে তিনি বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন তারা জাতীয় নিরাপত্তা এবং আইন শৃঙ্খলা অবজ্ঞা করছে।

শুক্রবার অপর এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি বলেন, দুষ্কৃতিকারী এবং অপরাধীদের গুন্ডামি চালিয়ে যেতে দিয়ে সরকার অস্ত্র ভাজ করে রাখবে না।