চার্চে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফ্রান্সের মুসলিম সম্প্রদায়

ফ্রান্সের নিস শহরে একটি চার্চে ছুরি হামলায় তিন জনকে হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশটির মুসলিম ধর্মাবলম্বী নাগরিকেরা। তারা বলছেন, এই হত্যাকাণ্ড কোনওভাবেই তাদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ সমর্থন করে না। কাতারিভত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

গত বৃহস্পতিবার সকালে ছুরি হাতে এক ব্যক্তি নিস শহরের নটর ডেম বাসিলিয়াতে হামলা চালায়। এতে নারীসহ তিন জন নিহত হয়। নিস শহরের মেয়র একে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় দেশটিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

ফ্রান্সের নাগরিক অধিকার কর্মী ইয়াসির লোয়াতি বলেছেন এই ধরনের অপরাধীরা মুসলিম কিংবা খ্রিস্টানের মধ্যে কোনও পার্থক্য করে না আর ইসলামের আদর্শের সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্ক নাই। তিনি বলেন, একটি চার্চের মধ্যে এক নারী শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, এর অর্থ এসব মানুষের সঙ্গে পবিত্রতার কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের জন্য নৈতিকতার কোনও সীমানা নেই।‘ তিনি বলেন, ‘সারা দুনিয়ায় মসজিদের মধ্যে প্রায় ৭৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে, আমরা কেন এই বিন্দুগুলোর সংযোগ করতে পারছি না। কেন দেখতে পাচ্ছি না যে মতাদর্শের যুদ্ধে আমরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমাদের এগুলোর মুখোমুখি হতে হচ্ছে কেননা আমরা একটি থেকে আরেকটিকে আলাদা করে ফেলছি যদিও সেগুলো আলাদা নয়।‘

ফ্রান্সের প্রখ্যাত দাতব্য প্রতিষ্ঠান বারাকাসিটি চ্যারিটির অ্যাকটিভিস্ট ইদ্রিস শিয়ামাদিও ছুরি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে বুধবার ওই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার পরও বৃহস্পতিবারের ছুরি হামলার পর এক টুইট বার্তায় শিয়ামাদি লিখেছেন, ‘এসব হামলা ভয়াবহ আর মানুষ যেখানে শান্তির খোঁজে আসে সেখানেই এই ধরনের ঘটনা দ্বিগুণ ভয়াবহ।‘ তিনি লেখেন, হতাহতদের পরিবারের জন্য সমবেদনা, বিশ্বাসীদের জন্যও সমব্যাথী। ফ্রান্স পাগলামি, ঘৃণা, ক্রোধ আর প্রতিশোধে ডুবে যাচ্ছে।‘

সাংবাদিক ফায়জা বেন মোহাম্মদ বলেন, মহানবী (সা) বলেছেন, ‘কেউ একজন ইহুদি কিংবা খ্রিস্টানের ক্ষতি করলেও কেয়ামতের দিন আমি ক্ষতিগ্রস্থের পক্ষে দাঁড়াবো।‘