বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী

গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইন ও ধারা ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। রাজতন্ত্র সংস্কার ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে দেশটিতে চলা বিক্ষোভ সম্প্রতি তীব্র আকার নেওয়ায় এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার এই হুমকি দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর হুমকির পর অনেকেই আশঙ্কা করছেন দেশটির কঠোর রাজতন্ত্র সুরক্ষা আইন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হতে পারে। তবে আগে ওই আইন ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

রাজতন্ত্রের ক্ষমতা খর্ব ও প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের চাহিদা মোতাবেক সংবিধান সংশোধন করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক করার কথা ভাবছিলেন আইনপ্রণেতারা। তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হন।

সেদিন রাজতন্ত্রের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যকার সংঘর্ষে  ছয়জন গুলিবিদ্ধ ও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার দেশটিতে কমপক্ষে ১০ হাজার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী পুলিশের প্রধান কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ করে। সে সময় তারা রং ও পানি পিস্তল ব্যবহার করেন। পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হলে বিক্ষোভ রুপ নেয় সহিংসতায়।

এর এক দিনের মাথায় এক বিবৃতিতে থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা বলেন, ‘পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আরও সহিংসতা বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। এগুলো যদি বিবেচনায় নেওয়া না হয় তাহলে এগুলো আমাদের দেশ এবং প্রিয় রাজতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার তাদের কার্যক্রম জোরালো করবে এবং আইন ভঙ্গ করা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সব আইন ও ধারা ব্যবহার করবে।’

তবে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১১২ নম্বর ধারা ব্যবহার করা হবে কিনা তা প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি। ওই ধারায় রাজতন্ত্রের সমালোচনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ধারা ভঙ্গকারীদের ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে।
এই বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা বলেছিলেন, রাজার অনুরোধে এই মুহূর্তে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আইনের ওই ধারা সরকার ব্যবহার করবে না।