ইথিওপিয়ার দুই লাখ শরণার্থীকে সুদানে আশ্রয়ের পরিকল্পনা জাতিসংঘের

ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ছয় মাসে দুই লাখ মানুষ সুদানে পালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। এসব মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পরিকল্পনা করছে তারা। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কর্মকর্তা এক্সেল বিস্কোপকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবি আহমেদ ক্ষমতা আসার পর আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হতে শুরু করে। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে তারই হাত ধরে। এই কারণে ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছরের মাথায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পান তিনি। প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় প্রশংসিত হলেও নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল টাইগ্রেতে শান্তি ফেরাতে তেমন পদক্ষেপ নেননি তিনি। উল্টো ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের নামে টাইগ্রেয়ানদের কোণঠাসা করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর প্রভাবেই টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট পার্টির (টিপিএলএফ) সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে শুরু হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এরইমধ্যে এ সংঘাতে কয়েক শ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অনেকে প্রতিবেশি দেশ সুদানে আশ্রয় নিচ্ছে।

এক্সেল বিস্কোপ শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সব সংস্থা মিলে পরিকল্পনামাফিক প্রায় ২০ হাজার মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। তবে এখনই সে সংখ্যা ছাপিয়ে গেছে। পালিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা এখনই প্রায় ৩১ হাজার। এমন অবস্থায় দুই লাখ মানুষের জন্য নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

শরণার্থীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা এবং নতুন আশ্রয় শিবির তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ৫ কোটি ডলার তহবিল সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো।