অবিলম্বে ইথিওপিয়ায় যুদ্ধবিরতির ডাক জাতিসংঘের

সংঘাতের কবলে পড়া বেসামরিক মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে ইথিওপিয়ায় অবিলম্বে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে এলাকায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই সংঘাতে আক্রান্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে জাতিসংঘ একটি মানবিক করিডোর স্থাপন করতে চায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।সংঘাত কবলিত এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না মানবিক ত্রাণ

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত নাম। তবে নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল টাইগ্রেতে শান্তি ফেরাতে তেমন পদক্ষেপ নেননি তিনি। উল্টো ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের নামে টাইগ্রেয়ানদের কোণঠাসা করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর প্রভাবেই টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট পার্টির (টিপিএলএফ) সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে শুরু হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এরইমধ্যে এ সংঘাতে কয়েক শ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিবেশি দেশ সুদানে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার শরণার্থী।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, টাইগ্রে অঞ্চলে সংঘাত অব্যাহত থাকলে আগামী ছয় মাসে দুই লাখ পর্যন্ত শরণার্থী সুদানে আশ্রয় নিতে পারে। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরুর কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, ইতোমধ্যে সুদানে পৌঁছানো শরণার্থীদের বড় অংশই শিশু এমনকি তারা ক্ষুধার্ত এবং ভীত। এছাড়া ইথিওপিয়ার অভ্যন্তরে আরও হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা গেলে এসব মানুষের কাছে জরুরি মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হবে মনে করছে ত্রাণ সংস্থাগুলো।

তবে টাইগ্রে অঞ্চলের সংকট সমাধানে এখন পর্যন্ত আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইথিওপিয়ার সরকার। এই সংকটকে নিরাপত্তা বাহিনীর অভ্যন্তরীণ বৈধ অভিযান বলে বিবেচনা করছে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের সরকার। অন্যদিকে, দুই দফায় দেশের জাতীয় নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়ায় তাকে আর বৈধ প্রেসিডেন্ট বলে স্বীকার করছে না টাইগ্রে অঞ্চলে লড়াইরত টিপিএলএফ বাহিনী। তবে প্রধানমন্ত্রীর দাবি করোনা মহামারির কারণে সর্বশেষ গত জুনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।