নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলে সহস্রাধিক মানুষের বিক্ষোভ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে দেশটির রাজপথে তীব্র বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঠাণ্ডা আবহওয়া উপেক্ষা করেই শনিবারের এ বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। এ সময় তারা দুর্নীতি ও করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায়ে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।13

নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে মাসখানেক ধরেই ইসরায়েলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে আন্দোলনকারীরা।

শনিবার জেরুজালেম ছাড়াও ইসরায়েলের অন্যান্য শহরেও রাজপথে নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে দামি উপহার গ্রহণ ও ইতিবাচক মিডিয়া কাভারেজ পেতে অবৈধ বাণিজ্যিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা চলছে। ইসরায়েলের প্রথম ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত বছর তার বিরুদ্ধে তিনটি আলাদা মামলায় জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ গঠন করা হয়। মে মাসে শুরু হয় বিচার। এরমধ্যেই আবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে তার সরকারের ওপর জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে গত মাসখানেক ধরা চলা তীব্র সরকারবিরোধী বিক্ষোভে।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছিল। তবে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এ বছর টানা চতুর্থ মেয়াদে শপথ নিয়েছেন। সেখানকার আইন অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন কোনও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে তবেই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রে এমনটা ঘটতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সর্বশেষ জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এক বছরের মধ্যে তিন দফা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও কোনও পক্ষই সরকার গঠন করতে পারেনি। এ বছর নেতানিয়াহু ও গান্তজ যৌথ সরকার গঠনের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এতে বলা হয়, নেতানিয়াহু ১৮ মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আর তারপর প্রধানমন্ত্রী হবেন বেনি গান্তজ। তবে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য হচ্ছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার ফলে বেকারত্ব বেড়েছে। তাই দুর্নীতির দায়ে বিচারের মুখে থাকা নেতানিয়াহুকে সরে যেতে হবে। সূত্র: এ নিউজ, এবিসি নিউজ।