তুরস্কের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: দাবি সৌদি মন্ত্রীর

বিভিন্ন মুসলিম দেশে যখন ফ্রান্স বয়কটের ডাক তুঙ্গে সেই সময়ে তুরস্কের পণ্য বর্জন করতে নিজ দেশের ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ দেয় সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে একাধিক খবর প্রকাশিত হলেও রিয়াদ কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এটি স্বীকার করেনি। তবে শনিবার জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে রয়টার্সকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে এ ধরনের কোনও বয়কটের কথা অস্বীকার করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। বরং তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।14

প্রিন্স ফয়সাল দাবি করেন, সৌদি আরব অনানুষ্ঠানিকভাবে তুর্কি পণ্য বয়কট করছে এমন কোনও তথ্য-উপাত্ত নেই।

দীর্ঘদিন থেকেই তুরস্কের এরদোয়ান সরকারকে শায়েস্তা করার পথ খুঁজছিল সৌদি আরব। এর অংশ হিসেবে সৌদিতে দেশটির বাজার বন্ধের কৌশল নেয় রিয়াদ। ২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকে সৌদি আরব এবং তুরস্কের মিডিয়া ছাড়াও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দিনের পর দিন যেসব খবর বেরুচ্ছে, তাতে বিষয়টি স্পষ্ট। ব্রিটিশ দৈনিক ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’ বলছে, সৌদি আরব তুরস্কের পণ্য আমদানির ওপর ‘অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে। একই রকম খবর দিয়েছে আলজাজিরা ও বিবিসি-র মতো সংবাদমাধ্যমগুলোও।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সৌদি সরকারের ইচ্ছাতেই যে দেশটিতে তুর্কি বয়কট ক্যাম্পেইন চলছে, সম্প্রতি তার ইঙ্গিত মিলেছে। কিছু দিন আগেই সৌদি খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (এসএফডিএ) তুরস্ক থেকে সব ধরনের মাংস, মাছ, ডিম এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য আমদানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানায়। তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকেও দেশটির রফতানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ধরনের বয়কট বা অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞার কথা সরাসরি অস্বীকার করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।