যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় দেড় লক্ষাধিক করোনা শনাক্ত

যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার একদিনেই নতুন করে দেড় লক্ষাধিক মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, এদিন দেশটিতে এক লাখ ৬৯ হাজার ১৯০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৮৯ জনের।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার-এর হিসাব অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট এক কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৭১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচির প্রধান ড. মনসেফ স্লায়ুই জানিয়েছেন, আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান শুরু হতে পারে।

ড. মনসেফ বলেন, টিকা অনুমোদিত হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রদানের স্থানে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক-এর পরিচালিত পরীক্ষায় তাদের করোনা টিকা ৯৪ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। এরইমধ্যে টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর টিকা বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি ১০ ডিসেম্বর ফাইজারের আবেদন নিয়ে বসতে পারে বলে জানা গেছে।

ড. মনসেফ বলেছেন, টিকা অনুমোদনের দুই দিনের মধ্যে ১১ বা ১২ ডিসেম্বর তা প্রদান করা হতে পারে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনও দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ইউরোপকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে।