শরণার্থীদের জন্য জার্মানির ৩২ বিলিয়ন ইউরো

Refugeesনিজ দেশে অবস্থান করা শরণার্থীদের পুনর্বাসনে ২০১৬ সালে ৩২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে জার্মানি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। দেশটির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো এ অর্থের যোগান দেবে।
শরণার্থীদের পুনর্বাসনে রাজ্য সরকারগুলো মোট ১৭ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করবে। আর এ খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় হবে ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে ৮ কোটির বেশি জনসংখ্যার সঙ্গে ২০১৫ সালেই যোগ হয়েছে ১০ লাখ শরণার্থী। এদের বেশিরভাগই এসেছে গৃহযুদ্ধপীড়িত সিরিয়া থেকে। শুধু সিরিয়ারই নয়; এশিয়ার আফগানিস্তান, ইরাক, আফ্রিকার ইরিত্রিয়া, ইউরোপের বলকান রাষ্ট্রগুলোসহ নানা দেশ থেকে মানুষ এসে ঠাঁই নিয়েছে জার্মানিতে।
ইউরোপের অনেক দেশের যখন শরণার্থীদের বিষয়ে ঘোর আপত্তি, তখন গত সেপ্টেম্বরে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল সিদ্ধান্ত নেন নিজ দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার। বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরিতে যখন শরণার্থীরা অনেকটাই নিগৃহীত, তখন যুদ্ধপীড়িত মানুষগুলোকে ‘ভিলকোমেন’ (ওয়েলকাম) জানিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে সরকারপ্রধান মার্কেলের সমর্থনে দাঁড়াতে দেখা যায় জার্মান নাগরিকদের।
শরণার্থীদের এভাবে গ্রহণকে জার্মান সংস্কৃতির অংশ বলে মনে করেন হামবুর্গের কিয়েল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের ডেপুটি প্রফেসর ড. ভাসিলিস সানিয়োসের। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় প্রচুর অভিবাসীকে জার্মানি গ্রহণ করেছিল। এরপর রাশিয়ার পতনের পর বলকান রাষ্ট্রগুলো থেকেও বহু মানুষ জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছে।

এসবের ফলশ্রুতিতে শরণার্থীদের চাপ বেড়েছে জার্মানিতে। আর জার্মানিও নিজ দেশের এসব নতুন মানুষদের জন্য ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। যার প্রমাণ এক বছরেই শরণার্থীদের জন্য ৩২ বিলিয়ন ইউরো ব্যয়ের জার্মান পরিকল্পনা। সূত্র: রয়টার্স।

/এমপি/