নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়ন পেলেন নেতানিয়াহু-এমবিজেড

২০২১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ (এমবিজেড)। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তাদের এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী লর্ড ডেভিড ট্রিম্বল এ পুরস্কারের জন্য তাদের নাম প্রস্তাব করেছেন। মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।12

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তিতে নোবেলজয়ী লর্ড ডেভিড ট্রিম্বল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনীত করেছেন।

২০২১ সালের অক্টোবরে অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার ঘোষণার কথা রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওই চুক্তির পর আবু ধাবির হোটেলগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে ইহুদি খাবার রাখার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করেই আমিরাতে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিদেশিদের শতভাগ মালিকানার বিধান করে কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ১৩টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের নতুন করে ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় আমিরাতি কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হচ্ছে তুরস্ক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, আলজেরিয়া, সোমালিয়া, কেনিয়া, ইরাক, লেবানন, তিউনিসিয়া, ইরান ও সিরিয়া। এসব দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এবং ভ্রমণ ভিসাও পরবর্তী নোটিশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত থাকবে।

এদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নেতানিয়াহু-এমবিজেড-এর মনোনয়নে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। সমালোচকরা বলছেন, ভয়াবহ আকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা উপহাসের শামিল।

টুইটারে মোহাম্মদ শফিক নামের একজন লিখেছেন, ‘ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহুর হাত বহু ফিলিস্তিনির রক্তে রঞ্জিত। ডেভিড ট্রিম্বল তাকেই নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত করেছেন। এই দুষ্ট লোকের হাতে যারা নিহত হয়েছে তাদের জন্য কী নিদারুণ এক অপমান ও রসিকতা।’