অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন মূল্যায়নে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে মূল্যায়ন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (এমএইচআরএ) নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। এর মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য অনুমতি পাওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো ভ্যাকসিনটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

1

প্রায় ১০ মাস ধরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার (২৩ নভেম্বর) গবেষকরা দাবি করেছেন ভ্যাকসিনটি ৭০ শতাংশ সফলতা পেয়েছে। এটি ব্যবহারের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে তারা। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি মূল্যায়নের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক বলেন, এমএইচআরএ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর পরই যেন ভ্যাকসিনটির ব্যবহার শুরু করা যায় তার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। আর এর জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।

‘অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন মূল্যায়নের জন্য আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছি। তারা ডাটা বিশ্লেষণ করবেন এবং খতিয়ে দেখবেন যে এটি দৃঢ় সুরক্ষা মান বজায় রাখে কিনা।’ বলেন হ্যানকুক।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সমাজ সুরক্ষা বিভাগ (ডিএইচএসসি) জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি সর্বপ্রথম যে কয়টি দেশের হাতে পৌঁছানোর কথা তার একটি যুক্তরাজ্য। অনুমোদন পেলে এ বছরের শেষ নাগাদ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ব্রিটিশ সরকারকে ভ্যাকসিনটির ৪০ লাক ডোজ সরবরাহ করবে। আর ২০২১ সালের মার্চ নাগাদ সরবরাহ করা হবে ৪ কোটি ডোজ। যুক্তরাজ্য সরকার ফাইজার/বায়োনটেকের তৈরি ভ্যাকসিনটির জন্যও ৪ কোটি ডোজ অগ্রিম ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে। চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফাইজারের ভ্যাকসিনটির ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা দেখা গেছে।