অবশেষে দিল্লিতে প্রবেশ করলো বিক্ষোভকারী কৃষকরা, সংঘর্ষে বিরতি পুলিশের

 

পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর অবশেষে দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে বিক্ষোভকারী কৃষকরা। নতুন কৃষক আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি অভিমুখে যাত্রাকারী এসব কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে বিরতি দিয়েছে পুলিশ। তবে বিক্ষোভকারীদের কড়া পাহারায় রাখছে তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি লোকসভার শেষ অধিবেশনে বিতর্কিত কৃষি বিল পাস করে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি ধ্বনি ভোটে পাস করানো হয়। তার পর থেকেই ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃষিভিত্তিক দুই রাজ্য পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় কৃষক বিক্ষোভ শুরু হয়। শীতে কার্যত কোনও ফসল বোঝাই ট্রাক পাঞ্জাব থেকে বের হতে দিচ্ছেন না কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন বলবৎ করে কৃষকদের স্বার্থে আঘাত করেছে। তবে সরকারের দাবি এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। গত দুই মাস ধরেই কৃষকদের আন্দোলন চলছিল। তারই মধ্যে কেন্দ্র কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। তার পরেই কৃষকদের সংগঠনগুলো সিদ্ধান্ত নেয়, বৃহস্পতিবার দিল্লি অভিযান করা হবে। এদিন পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর শুক্রবার আবারও দিল্লি অভিমুকে যাত্রা করেন কৃষকরা।

দিল্লির প্রবেশমুখে পুলিশ বিক্ষোভকারী কৃষকদের আটকে দেয়। টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। সেসময় বিক্ষোভকারীদের কাউকে কাউকে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। অনেকে একত্রিত হয়ে ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করেন।

বিক্ষোভকারী কৃষক সুক্রামপাল ধায়ানা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘পুলিশ জোর করে আমাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেছে, ব্যারিকেড দিয়েছে, জলকা্মান ছুড়েছে। তারপরও সরকার যেন লাখ লাখ কৃষকের কণ্ঠস্বর শুনতে পায়, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

শুক্রবার সকাল থেকে শক্তি প্রয়োগ করার পর অবশেষে দুপুরে সংঘর্ষের পথ থেকে সরে আসে পুলিশ। কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে অনুমতি দেয় পুলিশ। নয়াদিল্লির বুরারি এলাকায় নিরঙ্করী সমাগম মাঠে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। কিন্তু তারা বুরারির নিরঙ্করী ময়দানে বসতে রাজি হননি। এখন তারা সিঙ্গু সীমানাতেই বিক্ষোভ করছেন।